300+ নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম অর্থ এবং ব্যাখ্যা সহ

নবজাতকের জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলামে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম রাখার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন এবং নির্দেশনা রয়েছে, যা মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুসরণ করেছেন এবং মুসলমানদের জন্য তা অনুসরণ করাই শ্রেয়।

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নামকরণের ক্ষেত্রে তার অর্থ, উচ্চারণ, কুরআন-হাদিসে বর্ণিত নামগুলোর গুরুত্ব এবং ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে নাম নির্বাচন করা হয়।

ছেলে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম

ছেলে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম রাখার ক্ষেত্রে অনেক পিতামাতা আজকাল আধুনিক নাম পছন্দ করেন, কিন্তু ইসলামে তা হতে পারে অর্থবহ ও শুদ্ধ। নাম যদি কুরআন-হাদিস সম্মত হয়, তবে তা হবে বরকতময় এবং শিশুর ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর।

আরহাম (Arham) – দয়ালু, পরম দয়ালু
আল্লাহর একটি বিশেষ গুণবাচক নামের সাথে সম্পর্কিত, যার অর্থ হলো “সবচেয়ে বেশি দয়ালু”।

আইমান (Ayman) – বরকতময়, শুভ, নিরাপদ
কুরআনে ব্যবহৃত একটি নাম, যা সাধারণত নেককার ও সফল ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

ইলহাম (Ilham) – প্রেরণা, অন্তর্দৃষ্টি
আল্লাহর পক্ষ থেকে সৎ চিন্তা ও জ্ঞান লাভ বোঝাতে এই নাম ব্যবহৃত হয়।

সাদিক (Sadiq) – সত্যবাদী, বিশ্বস্ত
হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর একটি গুণাবলী, যা ন্যায়ের পথে চলার নির্দেশনা দেয়।

তাওফিক (Tawfiq) – সফলতা, আল্লাহর দেওয়া অনুগ্রহ
জীবনের সঠিক পথে চলতে আল্লাহর সাহায্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

রাইয়ান (Rayyan) – জান্নাতের একটি দরজা, সতেজ ও সবুজ
হাদিস অনুযায়ী, রোজাদারদের জন্য জান্নাতে “রাইয়ান” নামে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে।

জাকারিয়া (Zakariyya) – একজন নবীর নাম, আল্লাহ স্মরণকারী
হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর নাম, যিনি মহান ধৈর্যশীল ও আল্লাহর অনুগত ছিলেন।’

মেহেদী (Mehdi) – পথপ্রদর্শক, সৎপথের দিশারি
ইসলামিক বিশ্বাস অনুযায়ী, শেষ যুগে সত্য ধর্মের পুনর্জাগরণের জন্য “ইমাম মাহদি” আগমন করবেন।

নুহান (Nuhan) – জ্ঞানী, বিচক্ষণ
নবী নূহ (আ.)-এর নাম থেকে অনুপ্রাণিত, যার অর্থ হলো গভীর জ্ঞানসম্পন্ন।

আযান (Azaan) – আহ্বান, ডাক
ইসলামের মূল আহ্বান তথা নামাজের জন্য দেওয়া আজানের সাথে সম্পর্কিত একটি পবিত্র নাম।

 হাফিজ (Hafiz) – রক্ষক, সংরক্ষণকারী
আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম “আল-হাফিজ” থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো “রক্ষক ও হেফাজতকারী”।

সাঈদ (Saeed) – সৌভাগ্যবান, সুখী
এমন একজনকে বোঝায় যিনি সৌভাগ্য ও কল্যাণের অধিকারী।

মুজতবা (Mujtaba) – নির্বাচিত, পবিত্র
রাসুল (সা.)-এর একটি গুণবাচক নাম, যা আল্লাহর দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তির প্রতি নির্দেশ করে।

নাসির (Nasir) – সহায়ক, বিজয়ী
আল্লাহর একটি গুণ “আন-নাসির” থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো “সাহায্যকারী”।

রাহিম (Rahim) – দয়ালু, করুণাময়
আল্লাহর একটি বিশেষ নাম “আর-রাহিম” থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো “পরম করুণাময়”।

যাকারিয়া (Zakaria) – স্মরণকারী, একজন নবীর নাম
নবী যাকারিয়া (আ.) ছিলেন ধৈর্যশীল ও আল্লাহর নিকট প্রার্থনাকারী।

তালহা (Talha) – এক ধরনের ফলবান বৃক্ষ
সাহাবী হযরত তালহা (রা.)-এর নাম থেকে এসেছে, যিনি ইসলামের একজন সম্মানিত সাহাবী ছিলেন।

ইব্রাহিম (Ibrahim) – একজন মহান নবীর নাম
নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর নাম, যিনি ছিলেন ইসলামের পিতা ও ত্যাগের প্রতীক।

কাবীর (Kabir) – মহান, বিশাল
আল্লাহর গুণবাচক নাম “আল-কাবীর” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “সর্বশ্রেষ্ঠ”।

রাফি (Rafi) – উচ্চ মর্যাদার, উন্নীতকারী
আল্লাহর গুণবাচক নাম “আর-রাফি” থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো “উচ্চ মর্যাদা দানকারী”।

ফারহান (Farhan) – আনন্দিত, খুশি
যিনি সর্বদা খুশি ও সন্তুষ্ট থাকেন।

হাশির (Hashir) – একত্রিতকারী, পুনর্জীবিতকারী
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি নাম, যার অর্থ হলো “মানুষকে একত্রিতকারী”।

ইসফাহান (Isfahan) – শক্তিশালী, মর্যাদাবান
একজন দৃঢ় চরিত্রের ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে বোঝায়।

আজম (Azm) – দৃঢ় সংকল্প, স্থিরপ্রতিজ্ঞ
যিনি সংকল্পবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন।

সিহাম (Siham) – তীর, লক্ষ্যভেদী
লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

নাওয়াফ (Nawaf) – উন্নত, উঁচু মর্যাদার
সম্মান ও মর্যাদায় উন্নত।

ফিদা (Fida) – আত্মত্যাগ, উৎসর্গ
নিজের জীবন বা সম্পদ কল্যাণের জন্য উৎসর্গ করেন।

আসিম (Asim) – রক্ষক, নিরাপদকারী
বিপদ থেকে বাঁচায়।

লুতফি (Lutfi) – দয়ালু, কোমল স্বভাবের
যিনি দয়াশীল ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী।

রাকিব (Raqib) – পর্যবেক্ষক, পাহারাদার
আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম “আর-রাকিব” থেকেও নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো “যিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন”।

 জিয়াদ (Ziyad) – বৃদ্ধি, উন্নতি
যার জীবনে বরকত ও উন্নতি হয়।

তামিম (Tamim) – পূর্ণতা, দৃঢ়তা
পরিপূর্ণ ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

হিশাম (Hisham) – দানশীল, উদার
দয়াশীল ও দানশীল।

মুবাশশির (Mubashir) – সুসংবাদদাতা
কুরআনে ব্যবহৃত একটি শব্দ, যা সুসংবাদ প্রদানকারী ব্যক্তিকে বোঝায়।

শাফি (Shafi) – নিরাময়কারী, সুপারিশকারী
আল্লাহর একটি গুণের সাথে সম্পর্কিত, যার অর্থ হলো “যিনি রোগমুক্তি দান করেন”।

কামাল (Kamal) – পরিপূর্ণতা, শ্রেষ্ঠত্ব
জ্ঞানে ও চরিত্রে পরিপূর্ণ।

তালাল (Talal) – আকর্ষণীয়, প্রশংসনীয়
যিনি ব্যক্তিত্বে আকর্ষণীয় ও সম্মানিত।

রিদওয়ান (Ridwan) – সন্তুষ্টি, জান্নাতের দরবারের রক্ষক
ফেরেশতা রিদওয়ানের নাম, যিনি জান্নাতের দ্বাররক্ষক।

নাফিস (Nafis) – মূল্যবান, বিরল
এটি এমন কাউকে বোঝায় যিনি মহামূল্যবান ও সম্মানিত।

সাবির (Sabir) – ধৈর্যশীল, সহনশীল
ধৈর্যধারণ করেন এবং কঠিন সময়েও সংযমী থাকেন।

300+ নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম অর্থ এবং ব্যাখ্যা সহ

ফাহাদ (Fahad) – বাঘ, শক্তিশালী
শক্তিশালী, সাহসী এবং দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন।

আলী (Ali) – উচ্চ, শ্রেষ্ঠ, মহৎ
এটি হযরত আলী (রা.)-এর নাম, যিনি ইসলামের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন।

শিরাজ (Shiraz) – আলোর উৎস, প্রভা
আলো এবং প্রভা ছড়িয়ে দেন।

বিলাল (Bilal) – পানি, তরল, মিষ্টি শব্দ
এটি হযরত বিলাল (রা.)-এর নাম, যিনি ইসলামের প্রথম মুআজ্জিন ছিলেন।

সাহিল (Sahil) – উপকূল, সমুদ্রতট
শান্ত এবং স্থিতিশীল।

রাজা (Raja) – রাজা, শাসক
নেতৃত্ব দিতে সক্ষম বা সম্মানিত।

জালাল (Jalal) – মহিমা, শ্রেষ্ঠত্ব
আল্লাহর একটি গুণ “আল-জালাল” থেকে এসেছে, যার অর্থ “মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্ব”।

উমর (Umar) – দীর্ঘজীবী, শক্তিশালী
হযরত উমর (রা.)-এর নাম, যিনি ইসলামের মহান সাহাবী ছিলেন।

মুহাইমিন (Muhaimin) – রক্ষক, নিরীক্ষক
আল্লাহর গুণ “আল-মুহাইমিন” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “যিনি সবকিছু রক্ষা করেন”।

নোমান (Nouman) – চমৎকার, উত্তম
উজ্জ্বল এবং সম্মানিত।

 জাবির (Jabir) – সান্ত্বনাদায়ক, নিরাময়কারী
দুঃখী বা কষ্টগ্রস্ত মানুষদের সান্ত্বনা দেন।

সামির (Samir) – মিষ্টভাষী, বন্ধু, রাত্রিকালীন গল্পকার
স্নিগ্ধ ও মিষ্টিভাষী এবং রাতে গল্প বলতে পছন্দ করেন।

উসামা (Usama) – সিংহ, শক্তিশালী
সাহসী, শক্তিশালী এবং নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন।

শামস (Shams) – সূর্য
এটি আল্লাহর একটি গুণ “আশ-শামস” থেকে এসেছে, যার অর্থ “সূর্য” বা “আলো”।

রাশিদ (Rashid) – সৎপথে পরিচালিত, বুদ্ধিমান
সঠিক পথে চলেন এবং জ্ঞানী।

আশরাফ (Ashraf) – শ্রেষ্ঠ, মর্যাদাবান
সর্বোত্তম এবং মর্যাদাসম্পন্ন।

সালাহ (Salah) – সৎ, সঠিক
সৎ, সঠিক এবং ঈমানী জীবনযাপন করেন।

Nobojatoker Islamic Name

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম নির্ধারণ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, নামটি অর্থবহ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নামের উচ্চারণ সহজ হওয়া উচিত। তৃতীয়ত, ইসলামে যেসব নাম নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয়, সেগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।

রইয়ান (Rayyan) – জলপানকারী, যে জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করবে
জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং শান্তি ও সুখ লাভ করবেন।

মাহের (Mahir) – দক্ষ, পারদর্শী
কোনো কাজে পারদর্শী এবং দক্ষ।

রজ্বান (Rizwan) – সন্তুষ্টি, জান্নাতের রক্ষক
ফেরেশতা রিজওয়ানের নাম, যিনি জান্নাতের দ্বাররক্ষক হিসেবে পরিচিত।

সামীর (Sameer) – ভালো সঙ্গী, বন্ধু, রাত্রিকালীন গল্পকার
মিষ্টিভাষী, বন্ধুবৎসল এবং মানুষের সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।

মুস্তাফা (Mustafa) – নির্বাচিত, শ্রেষ্ঠ
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি বিশেষ নাম, যার অর্থ হলো “নির্বাচিত” বা “শ্রেষ্ঠ”।

ইবরাহিম (Ibrahim) – পিতৃসূল, পরিপূর্ণ বিশ্বাসী
এটি হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর নাম, যিনি ছিলেন আল্লাহর একজন মহান নবী।

মুফতাহ (Muftah) – চাবি, উন্মুক্তকারী
অন্যদের জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দেন বা নতুন সুযোগ তৈরি করেন।

হানান (Hanan) – দয়া, মমতা
এটি এমন একজনকে বোঝায় যিনি দয়ালু এবং মমতাময়ী।

তাউফিক (Taufiq) – আল্লাহর সাহায্য, সফলতা
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সাহায্য বা সফলতার প্রতীক।

যাইদ (Zayd) – বৃদ্ধি, উন্নতি
পরিমাণে বা মর্যাদায় বৃদ্ধি পেয়ে থাকেন।

আব্দুল্লাহ (Abdullah) – আল্লাহর দাস, আল্লাহর সেবক
এটি আল্লাহর একজন বিশেষ দাসকে বোঝায়, এবং এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পিতার নাম।

নাবিল (Nabil) – শ্রেষ্ঠ, মহৎ
সম্মানিত, মর্যাদাবান এবং শ্রেষ্ঠ।

রাহিল (Raheel) – যাত্রা, চলাচলকারী
যাত্রা করেন বা পথ অনুসরণ করেন।

আবির (Abir) – সুবাস, মিষ্টি গন্ধ
মিষ্টি গন্ধ ছড়ান বা যার উপস্থিতি সুখদায়ক।

জাকারিয়া (Zakariya) – স্মরণকারী, আল্লাহর নাম স্মরণকারী
এটি হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর নাম, যিনি আল্লাহর স্মরণকারী ছিলেন।

রাফি (Rafi) – উচ্চ, মহৎ, উন্নত
যিনি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন এবং উন্নত।

ওমর (Omar) – দীর্ঘজীবী, শক্তিশালী
এটি হযরত উমর (রা.)-এর নাম, যিনি ছিলেন ইসলামের মহান সাহাবী।

আলিফ (Alif) – শক্তিশালী, নির্ভীক
দৃঢ়, শক্তিশালী এবং নির্ভীক।

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম অর্থ এবং ব্যাখ্যা সহ

সুয়েব (Suhaib) – প্রিয়, সুন্দর
প্রিয়, সুন্দর এবং ভালোবাসার যোগ্য।

আদিল (Adil) – ন্যায়পরায়ণ, সুবিচারী
ন্যায়পরায়ণ এবং সুবিচারী।

মুসাব (Musab) – দৃঢ়, শক্তিশালী
দৃঢ় বিশ্বাসী এবং শক্তিশালী।

সাফওয়ান (Safwan) – পরিষ্কার, নির্ভুল
বিশুদ্ধ, পরিষ্কার এবং নির্ভুল।

আতিয়্যাহ (Atiyyah) – উপহার, দান
উপহার বা দানকারী, এবং ঈশ্বরের আর্শীবাদ।

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়ে

অনেকেই মেয়ে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম গুলোর পরিবর্তে অন্য ভাষার নাম রাখতে আগ্রহী হন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ইসলামের চেতনাবিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই পিতামাতার উচিত মেয়ে নবজাতকের জন্য একটি ইসলামিক সুন্দর নাম নির্বাচন করা।

আফিয়া (Afiya) – সুস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা
শান্তি ও নিরাপত্তায় থাকেন।

নাইলা (Naila) – দানশীল, আল্লাহর দান
সৌভাগ্য ও কল্যাণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ইনায়া (Inaya) – যত্ন, দয়া, আশীর্বাদ
এটি আল্লাহর কৃপা ও যত্ন বোঝায়।

জাওয়াহির (Jawahir) – রত্ন, মূল্যবান বস্তু
এর অর্থ হলো “দামি রত্ন”, যা মহামূল্যবান ও উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের প্রতীক।

সালওয়া (Salwa) – সান্ত্বনা, সুখ
এটি এমন কিছু বোঝায় যা দুঃখের সময় স্বস্তি এনে দেয়।

রায়হানা (Rayhana) – সুগন্ধি ফুল, জান্নাতের ফুল
হাদিসে উল্লিখিত জান্নাতের ফুলের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জুনাইনা (Junaina) – ছোট বাগান, জান্নাতের অংশ
জান্নাতের অনুগ্রহের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তাসনিম (Tasnim) – জান্নাতের ঝর্ণা
কুরআনে বর্ণিত জান্নাতের একটি বিশেষ ঝর্ণার নাম।

সুমাইয়া (Sumaiya) – প্রথম শহীদ নারী, উচ্চ মর্যাদার অধিকারী
ইসলামের প্রথম শহীদা হযরত সুমাইয়া (রা.)-এর নাম থেকে নেওয়া হয়েছে।

মারিয়াম (Maryam) – পবিত্র নারী, হযরত ঈসা (আ.)-এর মায়ের নাম
কুরআনে উল্লেখিত একমাত্র নারীর নাম, যিনি ছিলেন পরম ধার্মিক ও আল্লাহর প্রিয়।

 সাফা (Safa) – পবিত্রতা, বিশুদ্ধতা
এটি ইসলামে বিশেষ পবিত্র স্থান “সাফা ও মারওয়া” থেকে এসেছে।

নাওরা (Nawra) – উজ্জ্বল ফুল, আলো
আলো ছড়ান বা সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

হুমাইরা (Humaira) – লালাভ গালবিশিষ্ট, প্রিয়তমা
এটি হযরত আয়েশা (রা.)-এর একটি উপাধি, যা রাসুল (সা.) তাঁকে ভালোবেসে ডাকতেন।

আমিনা (Amina) – নিরাপদ, বিশ্বাসযোগ্য
এটি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর মা আমিনা বিনতে ওহাব (রা.)-এর নাম।

যুহরা (Zuhra) – উজ্জ্বল তারা, জ্যোতির্ময়ী
সৌন্দর্য ও আলো ছড়িয়ে দেন।

নূরান (Nooran) – দুটি আলো, জ্যোতির্ময়
এটি নূর (আলো) শব্দ থেকে এসেছে, যা ঈমান ও জ্ঞানের প্রতীক।

 আরোঃ দুঃখ কষ্ট নিয়ে ইসলামিক উক্তি ও স্ট্যাটাস

মাহজাবীন (Mahjabeen) – চাঁদের মতো সুন্দর
উজ্জ্বল ও মাধুর্যময়।

সালমা (Salma) – শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ
শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক।

ইজরা (Izra) – সাহায্যকারী, সমর্থনকারী
এটি ইসলামে একজন সহানুভূতিশীল নারীর গুণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

রুমাইসা (Rumaissa) – স্বর্গীয় ফুল, চমৎকার স্ত্রী
এটি একজন সাহাবিয়ার নাম, যিনি ছিলেন সাহাবী হযরত আনাস (রা.)-এর মা।

 নাহিদ (Nahid) – উজ্জ্বল, দীপ্তিময়
উজ্জ্বল ও জ্ঞানের আলো ছড়ান।

রিফাত (Rifat) – উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন
সম্মান ও মর্যাদায় উন্নত।

সানজিদা (Sanjida) – গম্ভীর, বিচক্ষণ
প্রজ্ঞাবান ও চিন্তাশীল।

নাবিহা (Nabiha) – বুদ্ধিমান, সম্মানিত
জ্ঞানী ও সম্মানিত।

মাইশা (Maisha) – জীবন, সুখময় জীবন
সুন্দর ও সুখী জীবনযাপন করেন।

রোহাফ (Rohaf) – কোমল, শান্ত
কোমল হৃদয়ের ও শান্ত স্বভাবের।

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম

তাজকিয়া (Tazkiya) – পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা
এটি আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতার প্রতীক।

ওয়াসিলা (Wasila) – নৈকট্য, সংযোগ
এটি আল্লাহর নৈকট্য ও ভালো কাজের মাধ্যমে সংযোগ বোঝায়।

ইফফাত (Iffat) – পবিত্রতা, সতীত্ব
চরিত্রে পবিত্র ও সংযমী।

রাওহা (Rawha) – প্রশান্তি, স্বস্তি
শান্তি ও স্বস্তির উৎস।

 রাশিদা (Rashida) – সৎপথে পরিচালিত, বুদ্ধিমতী
সঠিক পথে চলেন এবং জ্ঞানী।

নাওয়ারা (Nawwara) – আলোকিত, উজ্জ্বল
আলোর মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

সাবিহা (Sabiha) – চমৎকার, উজ্জ্বল
সৌন্দর্য ও দীপ্তির প্রতীক।

মারজান (Marjan) – মুক্তা, প্রবাল
এটি কুরআনে উল্লেখিত একটি শব্দ, যা মূল্যবান মুক্তার প্রতীক।

নুসাইবা (Nusayba) – সাহসী নারী, বিশিষ্ট ব্যক্তি
এটি সাহাবিয়া নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)-এর নাম, যিনি ছিলেন বীর ও সাহসী।

নবজাতকের ইসলামিক নাম

পিতামাতার জন্য নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম রাখা শুধু ধর্মীয় কর্তব্যই নয়, বরং এটি তাদের সন্তানের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও বটে। নামের মাধ্যমে শিশুর ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক গুণাবলীর প্রতিফলন ঘটতে পারে।

রাইদা (Raida) – নেতা, পথপ্রদর্শক
নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং অন্যদের পথ দেখান।

সামীরা (Samira) – বন্ধুসুলভ, রাতের গল্পকার
মিষ্টভাষী ও মনোমুগ্ধকর কথা বলেন।

দুররাহ (Durrah) – বড় মুক্তা, মূল্যবান বস্তু
খুব মূল্যবান ও সম্মানিত।

নাবিলা (Nabila) – সম্মানিত, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন
মহৎ ও উঁচু মর্যাদার অধিকারী।

সালওয়া (Salwa) – স্বস্তি, শান্তি
দুঃখ মোচন করেন এবং শান্তির প্রতীক।

 ফাতেমা (Fatima) – পবিত্র, বিশুদ্ধ
এটি হযরত ফাতেমা (রা.)-এর নাম, যিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কন্যা এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠ নারী।

শারমিন (Sharmeen) – লাজুক, সৌম্য
নম্র এবং লাজুক।

সারাহ (Sarah) – সুখী, আনন্দিত
সুখী এবং আনন্দিত জীবনযাপন করেন।

লায়লা (Laila) – রাত, সুন্দরী রাত
রাতে উদ্ভাসিত হয় বা যার সৌন্দর্য রাতের মতো দীপ্তিময়।

নুর (Nur) – আলো, দীপ্তি
এটি আল্লাহর গুণ “আন-নূর” থেকে এসেছে, যার অর্থ “আলো”।

মীনা (Mina) – মুক্তা, দামি রত্ন
মূল্যবান এবং অত্যন্ত সম্মানিত।

আলিয়্যা (Aliya) – উচ্চতর, মহৎ
মর্যাদাবান এবং উচ্চস্থান লাভ করেন।

জিন্নাহ (Jinnah) – স্বর্গ, জান্নাত
এটি স্বর্গের প্রতীক এবং ইসলামের পবিত্র স্থান।

মাহবুবা (Mahbuba) – প্রিয়, ভালোবাসার অধিকারী
খুব প্রিয় এবং ভালোবাসার উপযুক্ত।

ইউমাইমা (Umayma) – ছোট মেয়ে, ছোট মিষ্টি
এটি একটি সাধারণ, কিন্তু সুন্দর নাম, যা ছোট মেয়ে বা প্রিয় ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।

 আফিয়া (Afia) – সুস্থ, নিরাপদ
সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপন করেন।

আলজা (Alja) – পবিত্র, সতী
পবিত্র এবং সতী।

রুফাইদা (Rufaida) – সাহসী, মযার্বাণী
এটি সাহাবিয়া রুফাইদা বিনতে সাঈদের নাম থেকে এসেছে, যিনি ইসলামের প্রথম নার্স ছিলেন।

এলা (Ella) – সুন্দরী, উজ্জ্বল
উজ্জ্বল, সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।

মুনিরা (Munira) – দীপ্তিমান, আলোকিত
আলো ছড়ান এবং দীপ্তিময়।

রাহেলা (Rahela) – সাহসী, পথ প্রদর্শক
যিনি সাহসী ও পথপ্রদর্শক।

ইউসরা (Yusra) – সুখ, সহজতা
এটি আল্লাহর একটি গুণ “ইউসরা” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “সহজতা” এবং “সুখ”।

তাহমিনা (Tahmina) – শক্তিশালী, পরাক্রমী
শক্তিশালী এবং মহৎ গুণাবলীসম্পন্ন।

বুসরা (Bousra) – সুখী সংবাদ, শুভ সংবাদ
সুখী সংবাদ বা আশাবাদী হতে পারেন।

জাহরা (Zahra) – উজ্জ্বল, দীপ্তিমান
উজ্জ্বল, আলোকিত এবং সুন্দর।

 মহাব্বা (Mahabba) – ভালোবাসা, প্রীতি
যিনি স্নেহ এবং ভালোবাসার প্রতীক।

রাবিয়া (Rabia) – বসন্তকাল, পুনর্জীবন
জীবনের নতুন উজ্জীবন এবং প্রফুল্লতা নিয়ে আসেন।

নাজিয়া (Najia) – রক্ষা পাওয়া, মুক্তি পাওয়া
বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বা সফল হয়েছেন।

ফয়জা (Foyza) – সফল, বিজয়ী
সফল এবং বিজয়ী হন।

আফরিন (Afrin) – প্রশংসিত, সম্মানিত
প্রশংসিত এবং সম্মানিত।

মাহরুখ (Mahrokh) – সৌন্দর্য, আলো
আলো এবং সৌন্দর্যের প্রতীক।

সাহারা (Sahara) – মরুভূমি, প্রশান্তি
শান্তি ও প্রশান্তির বার্তা দেন, যেমন মরুভূমির শান্ত পরিবেশ।

লায়লা (Laila) – রাত, রাতের সৌন্দর্য
রাতের মতো সুন্দর এবং মিষ্টি।

মুনীরা (Muneera) – দীপ্তিমান, আলোকিত
আলো ছড়ান এবং দীপ্তিময়।

ফারাহ (Farah) – আনন্দ, সুখ
আনন্দ এবং সুখের প্রতীক।

রোহানী (Rohani) – আধ্যাত্মিক, পবিত্র
আধ্যাত্মিকভাবে পবিত্র এবং পরিশুদ্ধ।

জিনিয়া (Zinnia) – ফুল, সুন্দরী
ফুলের মতো সুন্দর এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য।

আলিয়া (Alya) – উচ্চ, মহৎ
উচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং সম্মানিত।

ইলহাম (Ilham) – প্রেরণা, অনুপ্রেরণা
অন্যদের অনুপ্রাণিত করেন।

সানাই (Sanai) – সূর্য, আলো
আলোর মতো উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত।

ওমাইমা (Umayma) – ছোট মেয়ে, মিষ্টি
এটি একটি ছোট, কিন্তু মিষ্টি নাম, যা সাধারণত প্রিয় মেয়েদের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সাফিয়া (Safiya) – পবিত্র, বিশুদ্ধ
পবিত্র এবং শুদ্ধ।

তারবিয়া (Tarbia) – শিক্ষা, উন্নয়ন
উন্নত শিক্ষা এবং উন্নতি অর্জন করেন।

আলহিয়া (Alhiya) – উচ্চশ্রেণী, মর্যাদাসম্পন্ন
উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও শ্রদ্ধেয়।

ইরফান (Irfan) – জ্ঞান, বোধ
জ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান।

 আরোঃ মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি

শেষ কথা

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তার আত্মপরিচয় ও ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখে। এজন্য ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা সর্বোত্তম।

 

Leave a Comment