বিভিন্ন মনীষী ও দার্শনিক মুখোশধারী মানুষ সম্পর্কে নানান উক্তি দিয়েছেন, যা আমাদের জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এনে দেয়।মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি আমাদের শেখায় যে কেবল কথায় নয়, বরং মানুষের কর্মেই প্রকৃত চরিত্র প্রতিফলিত হয়।
পোস্টের বিষয়বস্তু
কোন না কোন এক সময় প্রত্যেকেই মুখোশধারী মানুষের তারা প্রতারিত হয়ে থাকে। তাই তারা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি লিখেন। যাতে করে এসব মানুষের বিষয়ে মানুষ সচেতন হতে পারে এবং তাদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করতে পারেন।
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি
“মুখোশের আড়ালে আসল চেহারা লুকিয়ে থাকে।”
“সবাই মুখোশ পরে, কেউ সত্য লুকাতে, কেউ মিথ্যে দেখাতে।”
“মুখোশধারীর চেয়ে সৎ শত্রু ভালো।”
“একটি মুখোশ বহু বছর টিকে থাকে, কিন্তু চিরকাল নয়।”
“সময় সব মুখোশ খুলে দেয়।”
“যে যত সুন্দর মুখোশ পরে, সে তত বেশি ভেতর থেকে খারাপ।”
“মুখোশধারীরা বন্ধু নয়, তারা কেবল সুবিধাবাদী।”
“সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রুরা মুখোশ পরে বন্ধু সাজে।”
“সত্য মুখোশ পরে না, তাই তাকে চিনতে কষ্ট হয়।”
“মিথ্যা মুখোশ পরে আসে, তাই সহজেই বিশ্বাস জয় করে।”
“মুখোশ খুলে গেলে মানুষ আসলেই কেমন, তা বোঝা যায়।”
“আলোকিত মুখোশের আড়ালে কত অন্ধকার লুকিয়ে থাকে!”
“হাসির মুখোশের পেছনে কত কান্না লুকানো থাকে!”
“ভালোবাসার মুখোশ পরে যারা প্রতারণা করে, তারা সবচেয়ে নিষ্ঠুর।”
“নাটকের মঞ্চে মুখোশ দরকার, জীবনের মঞ্চে নয়।”
“মিথ্যার মুখোশ একদিন গলে যায়, কিন্তু সত্য চিরকাল স্থায়ী।”
“বুকের ভেতর বিষ নিয়ে কেউ কেউ সুধার মতো কথা বলে!”
“যে যতই মুখোশ পরুক, আয়নায় সে নিজেকে ঠকাতে পারে না।”
“চোখের ভাষা কখনোই মুখোশ পরতে পারে না।”
“মুখোশ খুলে যাওয়া মানুষের ভয় সবচেয়ে বেশি!”
“রাজনীতিবিদরা সবচেয়ে বেশি মুখোশ পরে।”
“ভদ্রতার মুখোশ পরে যারা অন্যকে ঠকায়, তারা সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
“সৎ মানুষদের মুখোশ লাগে না, মিথ্যাবাদীদেরই তা দরকার।”
“সমাজে সবচেয়ে ধূর্তরাই ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকে।”
“লোভী মানুষদের মুখোশের আড়ালে সৎ চরিত্র খুঁজতে যাবেন না।”
“দুর্নীতিবাজরা সব সময় সৎ মানুষের মুখোশ পরে থাকে।”
“ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকা নেকড়ে সমাজের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক।”

“যে যত বড় নেতা, সে তত বড় মুখোশধারী।”
“মানুষের চেহারার চেয়ে তার কর্মই আসল পরিচয় দেয়।”
“ভালো মানুষের মুখোশ পরা দানবদের থেকে সাবধান!”
“সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকরা মুখোশ পরে বন্ধু সাজে।”
“বন্ধুত্বের নামে যারা প্রতারণা করে, তারা সবচেয়ে বড় মুখোশধারী।”
আরোঃ সুন্দর সময় কাটানো নিয়ে স্ট্যাটাস
“প্রেমের নামে যে প্রতারণা করে, তার মুখোশ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।”
“বন্ধুত্বের মুখোশ পরে শত্রুতা করার চেয়ে প্রকাশ্যে শত্রু হওয়া ভালো।”
“বিশ্বাসের মুখোশ পরে যারা ঠকায়, তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক।”
“যে সত্যিকারের বন্ধু, তাকে মুখোশ পরতে হয় না।”
“ভালোবাসার মুখোশ পরে যারা প্রতারণা করে, তারা হৃদয়হীন।”
“ভালোবাসা আসলেই সত্য হলে মুখোশের প্রয়োজন পড়ে না।”
“কিছু মানুষ মুখোশ পরে ভালোবাসে, কিছু মানুষ ভালোবাসার মুখোশ পরে প্রতারণা করে।”
“ভালোবাসা মুখোশে ঢাকা পড়লে তা ভালোবাসা থাকে না, প্রতারণা হয়ে যায়।”
“মিথ্যার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো মুখোশ।”
“মিথ্যাবাদীরা সব সময় মুখোশ পরে থাকে।”

“সত্য সব সময় নগ্ন, কিন্তু মিথ্যা মুখোশের আড়ালে থাকে।”
“মিথ্যার রাজত্ব বেশিদিন টিকে না, কারণ মুখোশ একদিন খুলেই পড়ে।”
“যে মানুষ মুখোশ পরে কথা বলে, তার কথায় সত্য খোঁজা বৃথা।”
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস
“সত্যের সামনে মুখোশধারীরা টিকতে পারে না।”
“মুখোশের আড়ালে মিথ্যা যতই লুকাক, সত্য একদিন প্রকাশ হবেই।”
“মিথ্যার মুখোশ খুব সুন্দর, কিন্তু সত্যের কাছে এসে তা গলে যায়।”
“সত্যের শক্তি মুখোশ ছাড়াই টিকে থাকে।”
“সত্যের জন্য মুখোশ দরকার হয় না, কারণ তা আপনিই জ্বলজ্বল করে।”
“জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, সবাইকে বিশ্বাস করা যায় না।”
“মুখোশ পরে যারা বাঁচতে চায়, তারা কখনোই সুখী হতে পারে না।”
“সবচেয়ে বড় শত্রুরা মুখোশ পরে আসে, তাই তাদের চেনা কঠিন।”
“কিছু মুখোশ এতটাই বাস্তব, যে তা সত্যিকারের মুখের চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য।”
“যার মুখোশ সবচেয়ে সুন্দর, তার ভেতরটা সবচেয়ে নোংরা।”
“মুখোশধারী মানুষদের চেনার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সময়ের পরীক্ষা।”
“কিছু মুখোশ মানুষ এতদিন ধরে পরে থাকে যে, তারা নিজেরাই ভুলে যায় তাদের আসল চেহারা কেমন ছিল।”
“আত্মসম্মানের চেয়ে বড় কোনো মুখোশ নেই।”
“সময়ের সাথে সাথে মুখোশ পড়ে থাকা মানুষদের পরিচয় প্রকাশ হয়।”
“নিজেকে বাঁচানোর জন্য মুখোশ পরা যায়, কিন্তু তা স্থায়ী নয়।”
“অন্যায়ের মুখোশ পরে যারা সমাজে চলে, তারা সবচেয়ে বড় অপরাধী।”
“ন্যায়ের মুখোশ পরে অন্যায় করা মানুষদের থেকে সাবধান।”
“ন্যায়ের মুখোশ পরে যারা অন্যায় করে, তারা সবচেয়ে ধূর্ত প্রতারক।”
“অন্যায়ের মুখোশ যতই চকচকে হোক, একদিন তা ধুলোয় মিশে যায়।”
“ন্যায়ের সত্যিকারের সৈনিকদের কখনো মুখোশ পরতে হয় না।”
“মুখোশধারী প্রতারকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো মিষ্টি কথা।”
“ধোঁকার সবচেয়ে বড় রূপ হলো বিশ্বাসের মুখোশ।”
“প্রতারকদের মুখোশ একবার খুলে গেলে, তারা আর কখনো বিশ্বাসযোগ্য হয় না।”
“বড় বড় প্রতারকরা সবসময় সৎ মানুষের মুখোশ পরে থাকে।”
“সাবধান! যে বেশি সৎ দেখায়, তার মুখোশের আড়ালে বড় ধোঁকা থাকতে পারে।”
“প্রকৃত মানুষ মুখোশ ছাড়া জীবন যাপন করতে পারে।”
“যারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে, তারা সবসময় মুখোশ পরে।”
“মানুষের স্বরূপ বুঝতে হলে তার মুখোশ খুলে দেখতে হবে।”
“সত্যিকারের মানুষ কখনো মুখোশ পরে না, কারণ তারা জানে সত্যই শক্তি।”
“মুখোশ পরে যারা অন্যকে ধোঁকা দেয়, তারা নিজেদেরও ধোঁকা দেয়।”
“সত্যের পথের যাত্রীদের মুখোশের প্রয়োজন হয় না।”
“ধর্মের নামে যারা মুখোশ পরে, তারা ধর্মের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
“আল্লাহর কাছে সব মুখোশ খুলে যায়, সেখানে শুধু সত্য টিকে থাকে।”
“পরকালে মুখোশধারীদের জন্য কোনো আশ্রয় নেই।”
“সততার পথের যাত্রীদের মুখোশের প্রয়োজন পড়ে না।”
“সবচেয়ে বড় আঘাত আসে যখন পরিবারের কেউ মুখোশ পরে প্রতারণা করে।”

“কিছু আত্মীয়ের মুখোশ চেনা বড়ই কঠিন।”
“আত্মীয়তার সম্পর্ক তখনই সত্যিকারের হয়, যখন সেখানে কোনো মুখোশ থাকে না।”
“রক্তের সম্পর্কের চেয়ে সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি মূল্যবান।”
“পরিবারের মধ্যেই সবচেয়ে বড় মুখোশধারীদের দেখা যায়।
“অভিজ্ঞতাই শেখায় কে আসল, কে মুখোশধারী।”
“মানুষ যত বেশি শেখে, তত কম মুখোশ পরে।”
“অভিজ্ঞতা মুখোশের আড়ালে লুকানো আসল চেহারা দেখায়।”
“সত্যিকারের শিক্ষা মুখোশ ছাড়াই জীবন যাপন করতে শেখায়।”
“মানবতা মুখোশ পরে না, কারণ তা হৃদয় থেকে আসে।”
“মানবতা মুখোশ ছাড়া সবচেয়ে সুন্দর।”
“সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে মুখোশ খুলতে হবে।”
“সুসংস্কৃত সমাজে মুখোশের কোনো প্রয়োজন নেই।”
“মানুষের ভালোবাসা মুখোশহীন হলে পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।”
“যত বেশি মুখোশ, তত বেশি মিথ্যা!”
“সত্যিকারের সৌন্দর্য কখনো মুখোশের আড়ালে থাকে না।”
“মানুষ মুখোশ পরে, কারণ তারা নিজেদের আসল রূপকে লজ্জার মনে করে।”
আরোঃ কষ্ট নিয়ে স্ট্যাটাস
“সততার সামনে সব মুখোশ একদিন খুলে পড়ে।”
“জীবন একদিন মুখোশহীন সত্যের সামনে দাঁড়াবে, তখন কেউ লুকাতে পারবে না।”
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে হাদিস
“যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের (মুসলিমদের) দলভুক্ত নয়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০২)
“আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চেহারা ও সম্পদের দিকে লক্ষ্য করেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে লক্ষ্য করেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৬৪)
“যে ব্যক্তি এক দলের কাছে এক কথা বলে এবং অন্য দলের কাছে ভিন্ন কথা বলে, কিয়ামতের দিনে তার মুখে দুটি আগুনের জিহ্বা থাকবে।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪৮৭৩)
“সবচেয়ে কঠিন নামাজ মোনাফেকদের জন্য হলো এশা ও ফজরের নামাজ। যদি তারা এই নামাজের ফজিলত জানত, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তা আদায় করতে আসত।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫৭)
“যে ব্যক্তি জনগণের দায়িত্বে থাকে অথচ তাদের সাথে প্রতারণা করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৩১)
“মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি অত্যাচার করবে না এবং তাকে ধোঁকা দিবে না।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৬৪)
“সর্বোত্তম লোক হলো সেই ব্যক্তি, যে গোপনে ও প্রকাশ্যে সমান থাকে এবং তার অন্তর ও বাহ্যিকতা এক হয়।” (মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ৮৯২০)
“কিয়ামতের দিন আল্লাহ সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক বানাবেন সেই ব্যক্তিকে, যে এক ব্যক্তির সাথে একরকম ব্যবহার করে এবং অন্যের সাথে অন্যরকম।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৫৮)
এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, মুখোশধারী বা ছদ্মবেশী (কপট ও প্রতারক) ব্যক্তিদের ব্যাপারে ইসলাম কঠোরভাবে সতর্ক করেছে এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে কবিতা
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে,
অজানা এক চেহারা,
ভিতরে শয়তান, বাইরে ফেরেশতা,
চেনা বড়ই দুঃসাহসের কারবারা।
হাসির আড়ালে বিষ ছড়ায়,
মিষ্টি কথায় ফাঁদ পাতে,
বন্ধুর বেশে দংশন করে,
ভালোবাসায় ধোঁকা দিতে।
আলোয় সাজায় অন্ধকার,
সত্য ঢাকে মিথ্যার ঝলক,
বিশ্বাসের নৌকা ডুবিয়ে দেয়,
হাসে পেছনে ফেলে ছলক।
সময় একদিন খুলে দেবে,
সব মুখোশের আসল রূপ,
তখন বুঝবে কে আপন ছিল,
আর কে করেছিল প্রতারক সূর্য-ডুব।
তাই সজাগ হও বন্ধু তুমি,
চেনো মানুষ হৃদয়ের ছাপ,
মুখোশধারী যতই হোক চকচকে,
সত্যের আলোয় ফাঁসবে তার পাপ।
শেষ কথা
সংক্ষেপে বলা যায়, মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি আমাদের জীবনে বাস্তবতা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। এসব স্ট্যাটাস শুধু সামাজিক বাস্তবতা বোঝাতেই নয়, আমাদের আত্মরক্ষার কৌশল শিখতেও সহায়তা করে।