অহংকারের কারণে মানুষ নিজের ভুল বুঝতে পারে না এবং সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অহংকার নিয়ে উক্তি খুঁজছেন? এখান থেকে এক ক্লিক এ কপি করে নিন। তাই অহংকার নিয়ে কোরআনের উক্তি গুলোতে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে এবং এই গুণ থেকে বাঁচার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পোস্টের বিষয়বস্তু
অহংকার নিয়ে উক্তি
অহংকার নিয়ে কোরআনের উক্তি দ্বারা বোঝা যায় যে অহংকার শুধু ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে না, বরং তাকে সত্য গ্রহণের ক্ষমতা থেকেও বঞ্চিত করে।
“অহংকার পতনের মূল।” – বাংলা প্রবাদ
“অহংকার মানুষকে অন্ধ করে তোলে।” – লিও টলস্টয়
“অহংকার জ্ঞানকে গ্রাস করে।” – সক্রেটিস
“অহংকার হলো অজ্ঞতার ফল।” – বুদ্ধ
“অহংকারী মানুষ নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে।” – শেখ সাদী
“অহংকার কখনো আপনাকে বড় হতে দেবে না।” – ওয়ারেন বাফেট
“অহংকার জ্ঞানকে নষ্ট করে এবং বন্ধুত্বকে ধ্বংস করে।” – কনফুসিয়াস
“অহংকার মানুষকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।” – প্লেটো
“অহংকার আত্মবিনাশের প্রথম ধাপ।” – উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
“অহংকার মানুষের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।” – জন মিলটন
“যেখানে অহংকার, সেখানে পতন অবশ্যম্ভাবী।”
“অহংকার মানুষকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।”
“অহংকারী ব্যক্তি অন্যের ভালো মেনে নিতে পারে না।”
“অহংকার বিনাশের কারণ, বিনয় উন্নতির চাবিকাঠি।”

“অহংকার সুখ কেড়ে নেয়, শান্তি নষ্ট করে।”
অহংকার নিয়ে স্ট্যাটাস
“অহংকার করলে একদিন সবাই তোমাকে পরিত্যাগ করবে।”
“অহংকার মানুষকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে।”
“অহংকার মানুষের চরিত্রকে কলুষিত করে।”
“অহংকারী ব্যক্তি একদিন একাকী হয়ে পড়ে।”
“যে ব্যক্তি অহংকার করে, সে নিজেই নিজের শত্রু।”
“অহংকার আল্লাহর অপছন্দনীয় একটি গুণ।” – ইসলাম
“অহংকার মানুষকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।” – হিন্দু ধর্ম
“অহংকার আত্মার শত্রু।” – খ্রিস্টধর্ম
“অহংকারী ব্যক্তি কখনো প্রকৃত শান্তি পায় না।” – বৌদ্ধ ধর্ম
“অহংকার মানুষকে সৃষ্টিকর্তার নিকট হতে দূরে সরিয়ে দেয়।”
“অহংকার ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, আর বিনয় মুক্তির পথ দেখায়।”
“অহংকার মানুষের হৃদয় থেকে ঈশ্বরের আলো দূর করে।”
“অহংকারের পথ কখনো সঠিক পথ হতে পারে না।”
“অহংকার মানুষকে আত্ম-ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।”
“অহংকার ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ।”
“বড় হতে হলে অহংকার ত্যাগ করতে হবে।”
“অহংকারী ব্যক্তি কখনো নতুন কিছু শিখতে পারে না।”
“অহংকার ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হয়।”
“অহংকারের বোঝা বইতে গিয়ে অনেকেই নিজের উন্নতি থামিয়ে ফেলে।”
অহংকার নিয়ে ক্যাপশন
“অহংকার জ্ঞানের শত্রু, বিনয় তার বন্ধু।”
“যে ব্যক্তি অহংকারী, সে সবসময় ভুল করে।”
“অহংকারের কারণে অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি ব্যর্থ হয়েছে।”
“অহংকার মানুষের আত্ম-উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।”
“অহংকারের ফল কখনোই মধুর হয় না।”
“জ্ঞানী মানুষ অহংকার থেকে দূরে থাকে।”
“অহংকার ত্যাগ করো, জীবনে শান্তি আসবে।”
“যত বিনয়ী হও, তত বড় হও।”

“অহংকারের পরিবর্তে ধৈর্য ধরো, সফলতা আসবে।”
“অহংকারের পথ ছেড়ে দাও, জীবনে উন্নতি হবে।”
“অহংকারের মিথ্যা গর্ব নয়, বাস্তবতা গ্রহণ করো।”
“অহংকার মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
“অহংকারকে দূরে সরিয়ে রেখে, বিনয়কে গ্রহণ করো।”
“অহংকারের বদলে জ্ঞান অর্জন করো।”
“সফল মানুষ অহংকার করে না, সে অন্যদের অনুপ্রাণিত করে।”
“অহংকার কখনোই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি নয়, বিনয়ই হলো প্রকৃত শক্তি।
অহংকার নিয়ে কোরআনের উক্তি
“আল্লাহ অহংকারী ও গর্বিত ব্যক্তিকে ভালোবাসেন না।”
(সুরা আন-নিসা: ৩৬)
আরোঃ পাখি নিয়ে ক্যাপশন ও কবিতা
“নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।”
(সুরা লুকমান: ১৮)
“এই পৃথিবীতে অহংকারের সঙ্গে বিচরণ করো না।”
(সুরা বনী ইসরাঈল: ৩৭)
“যারা অন্যায়ভাবে পৃথিবীতে অহংকার করে, আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনসমূহ বুঝতে দেই না।”
(সুরা আরাফ: ১৪৬)
“অহংকারী ও স্বেচ্ছাচারীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ।”
(সুরা আন-নাহল: ২৩)
“অহংকারের কারণে আমি শয়তানকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছি।”
(সুরা সাদ: ৭৪-৭৮)
“অহংকারী ও অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”
(সুরা আল-আহযাব: ৭২-৭৩)
“অহংকার মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।”
(সুরা আল-মুনাফিকুন: ৪)
“যে ব্যক্তি অহংকার করে, সে তার নিজের ক্ষতি করে।”
(সুরা ফাতির: ৪৩)
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ সমস্ত অহংকারী ও গর্বিত ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন।”
(সুরা আন-নাহল: ২২)
“সত্যিকারের মুমিনরা নম্র এবং আল্লাহর সামনে বিনীত থাকে।”
(সুরা আল-ফুরকান: ৬৩)
“যারা দুনিয়াতে বিনম্রভাবে চলে, তাদের জন্য রয়েছে পরকালের পুরস্কার।”
(সুরা আল-আ’রাফ: ২০৬)
অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি
“যারা অহংকার করে না, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।”
(সুরা আল-মুজাদালাহ: ১১)
“বিনীত হও, কারণ বিনীত ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে জান্নাত।”
(সুরা আশ-শু’আরা: ৮৩-৮৫)
“যারা অন্যদের ওপর অহংকার করে না, তারাই প্রকৃত ধার্মিক।”
(সুরা ত্বা-হা: ১৩০)
“যারা বিনম্র হয়, তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়।”
(সুরা আশ-শূরা: ৩৮-৪০)
“যারা আল্লাহর জন্য বিনয়ী, তাদের জন্য রয়েছে মহান প্রতিদান।”
(সুরা আল-হজ্জ: ৩৪-৩৫)
“অহংকার ত্যাগ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে মর্যাদা দেবেন।”
(সুরা মারইয়াম: ৬৩-৬৪)
“যারা বিনয়ী, তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন।”
(সুরা আন-নূর: ৩১)
“অহংকারীরা পরকালে চরম লজ্জার সম্মুখীন হবে।”
(সুরা আল-ইনশিকাক: ১০-১২)
“অহংকারীরা পরকালে লাঞ্ছিত হবে।”
(সুরা আল-মুমিন: ৬০)
“যারা নিজেদের বড় মনে করে, তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।”
(সুরা আল-আ’রাফ: ৩৬)
অহংকার নিয়ে কোরআনের আয়াত
“শয়তানের মতো অহংকার কোরো না, তা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।”
(সুরা আল-হিজর: ৩৯-৪০)
“অহংকার মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।”
(সুরা আস-সাফফাত: ৬৪-৬৮)
“অহংকারের কারণে ফেরাউন ধ্বংস হয়েছিল।”
(সুরা আন-নাজিয়াত: ২৩-২৫)
“অহংকার মানুষকে সত্য গ্রহণে বাধা দেয়।”
(সুরা আজ-যুমার: ৫৯-৬০)
“যারা অহংকার করে, তারা সত্যকে অস্বীকার করে।”
(সুরা আর-রুম: ৪১-৪২)
“অহংকারের জন্য বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে।”
(সুরা আল-হাদিদ: ১৬-১৭)
“যারা অহংকার করে, তারা শয়তানের অনুসারী।”
(সুরা আস-সাজদাহ: ১৮-১৯)
“যে অহংকার ত্যাগ করবে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করবেন।”
(সুরা আত-তিন: ৬-৭)
শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা:
“অহংকারী ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”
(সুরা আশ-শু’আরা: ২০৮-২০৯)

“তাদের মুখ লজ্জায় কালো হয়ে যাবে, যারা অহংকার করেছে।”
(সুরা আলে ইমরান: ১০৬-১০৭)
“অহংকারী ব্যক্তির অন্তর কঠিন হয়ে যায়।”
(সুরা আল-হাদিদ: ১৬)
“অহংকারীরা দুনিয়ায় অস্থায়ী আনন্দ পেলেও, তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।”
(সুরা আন-নাহল: ৭০-৭১)
“অহংকারের কারণে তারা সত্যের পথ থেকে দূরে সরে যায়।”
(সুরা আল-আহকাফ: ২০)
“যে অহংকার করে, তার জন্য রয়েছে পরকালের লাঞ্ছনা।”
(সুরা আর-রহমান: ৩৯-৪১)
“অহংকারীদের কোনো বন্ধু থাকবে না কিয়ামতের দিনে।”
(সুরা আল-কাশিয়াহ: ১৭-১৮)
“অহংকারীরা জান্নাতের সুসংবাদ পাবে না।”
(সুরা আল-মুতাফফিফিন: ৩৪-৩৬)
“অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।”
(সুরা আন-নামল: ১৪)
“যারা অহংকার করে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
(সুরা আল-আরাফ: ৪০)
অহংকার নিয়ে হাদিস
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যার অন্তরে ذرّة (এক কণার সমান) অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
(সহিহ মুসলিম: ৯১)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন আল্লাহ অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তির দিকে তাকাবেন না।”
(সহিহ মুসলিম: ২১২৮)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন: (১) অহংকারী ব্যক্তি, (২) প্রতারণাকারী ব্যবসায়ী, (৩) কৃপণ ধনী।”
(সুনান আন-নাসাঈ: ২৫৫০)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি গর্ব বা অহংকারের সাথে কাপড় টেনে হাঁটে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে তাকাবেন না।”
(সহিহ বুখারি: ৫৭৮৩, সহিহ মুসলিম: ২০৮৫)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেন। আর যে ব্যক্তি অহংকার করে, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।”
(সুনান ইবনে মাজাহ: ৪১৭৬)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তিদের পিপীলিকার আকারে ক্ষুদ্র করে তুলে ধরা হবে, এবং তাদেরকে অপমানিত করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।”
(তিরমিজি: ২৪৯২)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“অহংকার হলো সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।”
(সহিহ মুসলিম: ৯১)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি বিনয়ী হয়, সে আল্লাহর নিকট উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন হয়। আর যে ব্যক্তি অহংকার করে, সে ধ্বংস হয়ে যায়।”
(সুনান আবু দাউদ: ৪০৯৫)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি তাদের হবে, যারা অহংকারী ও আত্মগর্বিত।”
(সহিহ বুখারি: ৩৪৮৮)
আরোঃ জীবন পরিবর্তন নিয়ে উক্তি 225 টি
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, অহংকার নিয়ে উক্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত আত্মজ্ঞান অর্জন করা, যা অহংকারকে দূর করে প্রকৃত প্রজ্ঞা ও সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।